![]() |
সন্ধির যাবতীয় বর্ণনা |
সন্ধির প্রয়োজনীয়তা
দুটি সন্নিহিত ধ্বনি দ্রুত উচ্চারিত হলেও এদের উচ্চারণ স্থানের সান্নিধ্য থাকলে এরা একে অন্যকে প্রভাবিত করে থাকে। তখন এদের পৃথক ভাবে উচ্চারণ করলে শ্রুতিকটু শোনায় । এক্ষেত্রে বর্ণ দুটিকে সন্ধির সাহায্যে একত্র করলে উচ্চারণ যেমন সহজ ও সুন্দর হয় তেমনি অল্প আয়াসে উচ্চারণ করাও সম্ভব হয় । এতে ভাষা সাবলীল ও শ্রুতিমধুর হয়। সন্ধি ভাষাকে উচ্চার্য ও শ্রুতিমধুর করে ।
সন্ধি
পরস্পর অত্যন্ত সন্নিহিত দুই বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে । সন্ধি অর্থ মিলন ।
১/ নবান্ন = নব + অন্ন
২/ রবীন্দ্র = রবি + ইন্দ্র
৩/ দিগন্ত = দিক + অন্ত
৪/ তরুচ্ছায়া = তরু + ছায়া
৫/ উচ্ছেদ = উৎ + ছেদ
৬/ সরোবর = সরঃ + বর ।
উপরের উদাহরণ গুলো লক্ষ্য কর। প্রথম উদাহরণে অ-কার এবং অ-কারের মিলনে আ-কার, দ্বিতীয় উদাহরণে ই-কার এবং ই-কারের মিলনে ঈ-কার, তৃতীয় উদাহরণে ক এবং অ-এর মিলনে গ, চতুর্থ উদাহরণে উ এবং ছ-এর মিলনে ছ-স্থলে চ্ছ, পঞ্চম উদাহরণে ৎ এবং ছ-এর মিলনে চ্ছ, এবং ষষ্ঠ উদাহরণে অঃ এবং ব-এর মিলনে অঃ স্থলে ও হয়েছে। এরুপ পরিবর্তনকে সন্ধি বলে ।
সন্ধি তিন প্রকার
১/ নবান্ন = নব + অন্ন
২/ রবীন্দ্র = রবি + ইন্দ্র
৩/ দিগন্ত = দিক + অন্ত
৪/ তরুচ্ছায়া = তরু + ছায়া
৫/ উচ্ছেদ = উৎ + ছেদ
৬/ সরোবর = সরঃ + বর ।
উপরের উদাহরণ গুলো লক্ষ্য কর। প্রথম উদাহরণে অ-কার এবং অ-কারের মিলনে আ-কার, দ্বিতীয় উদাহরণে ই-কার এবং ই-কারের মিলনে ঈ-কার, তৃতীয় উদাহরণে ক এবং অ-এর মিলনে গ, চতুর্থ উদাহরণে উ এবং ছ-এর মিলনে ছ-স্থলে চ্ছ, পঞ্চম উদাহরণে ৎ এবং ছ-এর মিলনে চ্ছ, এবং ষষ্ঠ উদাহরণে অঃ এবং ব-এর মিলনে অঃ স্থলে ও হয়েছে। এরুপ পরিবর্তনকে সন্ধি বলে ।
সন্ধি তিন প্রকার
১/ স্বরসন্ধি
২/ ব্যঞ্জনসন্ধি
৩/ বিসর্গসন্ধি
স্বরসন্ধি
স্বরবর্ণের সঙ্গে স্বরবর্ণের মিলনকে স্বরসন্ধি বলে । উদাহরণ-
অ + অ = আ - অপর + অপর = অপরাপর
নর + অধম = নরাধম
অ + আ = আ - জল + আশয় = জলাশয়
গ্রন্থ + আগার = গ্রন্থাগার
ই + ই = ঈ - অতি + ইত = অতীত
রবি + ইন্দ্র = রবীন্দ্র
ঈ + ই = ঈ - মহী + ইন্দ্র = মহীন্দ্র
শচী + ইন্দ্র = শচীন্দ্র
উ + উ = ঊ - সু + উক্তি = সুক্তি
সাধু + উত্তম = সাধুত্তম
উ + ঊ = ঊ - লঘু + ঊর্মি = লঘুর্মি
অ + ই = এ - স্ব + ইচ্ছা = স্বেচ্ছা
শুভ + ইচ্ছা = শুভেচ্ছা
অ + উ = ও - নর + উত্তম = নরোত্তম
ফল + উদয় = ফলোদয়
অ + ঋ = অর্ - সপ্ত + ঋষি = সপ্তর্ষি
অধম + ঋণ = অধমর্ণ
ই + আ = য্ + আ - অতি + আচার = অত্যাচার
ব্যঞ্জনসন্ধি
অ + অ = আ - অপর + অপর = অপরাপর
নর + অধম = নরাধম
অ + আ = আ - জল + আশয় = জলাশয়
গ্রন্থ + আগার = গ্রন্থাগার
ই + ই = ঈ - অতি + ইত = অতীত
রবি + ইন্দ্র = রবীন্দ্র
ঈ + ই = ঈ - মহী + ইন্দ্র = মহীন্দ্র
শচী + ইন্দ্র = শচীন্দ্র
উ + উ = ঊ - সু + উক্তি = সুক্তি
সাধু + উত্তম = সাধুত্তম
উ + ঊ = ঊ - লঘু + ঊর্মি = লঘুর্মি
অ + ই = এ - স্ব + ইচ্ছা = স্বেচ্ছা
শুভ + ইচ্ছা = শুভেচ্ছা
অ + উ = ও - নর + উত্তম = নরোত্তম
ফল + উদয় = ফলোদয়
অ + ঋ = অর্ - সপ্ত + ঋষি = সপ্তর্ষি
অধম + ঋণ = অধমর্ণ
ই + আ = য্ + আ - অতি + আচার = অত্যাচার
ব্যঞ্জনসন্ধি
ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে স্বরবর্ণ বা ব্যঞ্জনবর্ণের মিলনকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলে । উদাহরণ-
উৎ + জ্বল = উজ্জ্বল
উৎ + লাস = উল্লাস
বৃষ্ + তি = বৃষ্টি
ষষ্ + থ = ষষ্ঠ
নষ্ + ত = নষ্ট
পৎ + হতি = পদ্ধতি
জগৎ + নাথ = জগন্নাথ
সম্ + তান = সন্তান
সম্ + চয় = সঞ্চয়
কিম্ + বা = কিংবা
সম্ + বর্ধনা = সংবর্ধনা
রাজ্ + নী = রাজ্ঞী
পরি + কার = পরিষ্কার
ষট্ + দশ = ষোড়শ
মনস্ + ঈষা = মনীষা
বিসর্গসন্ধি
উৎ + জ্বল = উজ্জ্বল
উৎ + লাস = উল্লাস
বৃষ্ + তি = বৃষ্টি
ষষ্ + থ = ষষ্ঠ
নষ্ + ত = নষ্ট
পৎ + হতি = পদ্ধতি
জগৎ + নাথ = জগন্নাথ
সম্ + তান = সন্তান
সম্ + চয় = সঞ্চয়
কিম্ + বা = কিংবা
সম্ + বর্ধনা = সংবর্ধনা
রাজ্ + নী = রাজ্ঞী
পরি + কার = পরিষ্কার
ষট্ + দশ = ষোড়শ
মনস্ + ঈষা = মনীষা
বিসর্গসন্ধি
বিসর্গান্ত বর্ণের সাথে ব্যঞ্জন বা স্বরবর্ণের মিলন কে বিসর্গসন্ধি বলে। উদাহরণ-
মনঃ + যোগ = মনোযোগ
বয়ঃ + বৃদ্ধ = বয়োবৃদ্ধ
অন্তঃ + ভূক্ত = অন্তর্ভুক্ত
প্রাতঃ + কাল = প্রাতঃকাল
নিঃ + ঝর = নির্ঝর
দুঃ + চরিত্র = দুশ্চরিত্র
নিঃ + চয় = নিশ্চয়
জ্যোতিঃ + ইন্দ্র = জ্যোতিরিন্দ্র
আবিঃ + ভাব = আবির্ভাব
দুঃ + তর = দুস্তর
তিরঃ + কার = তিরস্কার
মনঃ + যোগ = মনোযোগ
বয়ঃ + বৃদ্ধ = বয়োবৃদ্ধ
অন্তঃ + ভূক্ত = অন্তর্ভুক্ত
প্রাতঃ + কাল = প্রাতঃকাল
নিঃ + ঝর = নির্ঝর
দুঃ + চরিত্র = দুশ্চরিত্র
নিঃ + চয় = নিশ্চয়
জ্যোতিঃ + ইন্দ্র = জ্যোতিরিন্দ্র
আবিঃ + ভাব = আবির্ভাব
দুঃ + তর = দুস্তর
তিরঃ + কার = তিরস্কার
1 মন্তব্যসমূহ
Nice post
উত্তরমুছুনdo you want to know about Traditional bangladeshi food: mejbani in chittagong please visit
please do not enter any spam link in the comment box .
Emoji